আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার এবাদত করার জন্য। এবং তিনি প্রত্যেককে তার অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল করেছেন। এ প্রসঙ্গে রাসূল সঃ একটি হাদিস : আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জেনে রেখো! তোমাদের প্রত্যেকেই একজন দায়িত্বশীল; আর তোমরা প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব ইমাম, যিনি জনগণের দায়িত্বশীল তিনি তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। পুরুষ গৃহকর্তা তার পরিবারের দায়িত্বশীল; সে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। নারী তার স্বামীর পরিবার, সন্তান-সন্ততির উপর দায়িত্বশীল, সে এসব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কোন ব্যাক্তির দাস স্বীয় মালিকের সম্পদের দায়িত্বশীল; সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব জেনে রাখ, প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বাধীন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। বুখারী-৬৬৫৩ নং হাদিস।
পৃথিবীর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখাযায় যুগ যুগ ধরে মানুষ রিজিকের সন্ধানে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতেন। যেমন হযরত ইউসুফ আঃ এর কাওম মিশরে ভ্রমন করেছেন। আরবের লোক জন সাম সিরিয়া ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য ভ্রমন করেছেন। আল্লাহ তায়ালা ও রিজিকের সন্ধানে জমিনে ছড়িয়ে পড়তে বলেছেন। যুগের এই ধারা বাহিকতা অনুযায় আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রুটি রুজির জন্য অবস্থান করতেছেন। তাদের এই প্রবাস জীবনের প্রতি আমাদের দোয়া ও ভালবাসা নিবেদন করছি। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখবেন একজন প্রবাসীর ইনকাম দ্বার তার পরিবারের ৭ থেকে ১০ জনের রিজিকের ব্যবস্থা হচ্ছে। তাই তাদের প্রতি পরিবারের সকলের অসীম দায়িত্ব রয়েছে। আমরা দ্বারা বাহিক ভাবে তুলে ধরবো।
১। প্রবাসীদের প্রতি উত্তম আচরণ করতে হবে। কারণ তারা সকলে পরিবার পরিজন ছেড়ে প্রবাসে একাকি জীনযাপন করতেছে। প্রিয়জনদের মুখে হাঁসি ফুটাতে মাস শেষে বেতনা পাওয়ার সাথে সাথে দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমার জান মতে এরকম অনেক প্রবাসীকে দেখেছি শুধু মাত্র নীজের খাওয়ার খরচ রেখে সকল টাকা দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। হঠাৎ যদি কোন অসুস্থ হয় তার চিকিৎসা করার টাকাও কাছে থাকেনা। এত কষ্টের বিনিময়ে তারা আপনাদের কাছে শুধু চায় একটু সম্মান ও উত্তম আচরণ।
২। তাদের পাঠানো টাকার অপচয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনাকে চিন্তা করতে হবে আজকে আমার কি না হলে চলবে তাহলে দেখবেন কিছুই লাগবেনা। আবার যদি চিন্তা করেন আমার সুন্দর জামা চাই, বাড়ি চাই, গাড়ি চাই তাহলে সারা দুনিয়া হলেও আপনার অভাব থেকে যাবে। তাই সিমিত সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে হবে। বিনা প্রয়োজনে টাকা পয়সা খরাচ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩। পরিবারের উন্নয়নে জন্য সকলকে চিন্তা করতে হবে। যেমন হাঁস মুরগি পালন, গবাদি পশু পালন, বাড়ির আঙ্গীনা সবজি চাষ, পুকুরে মাছ চাষ সহ সম্ভবের মধ্যে সকল ধরণের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে হবে। পরিবারের সন্তান সন্তুতিকে পড়ালেখার পাসাপাসি কর্মমুখি করে তুলতে হবে। অনেক পরিবারে দেখা যায় কাজ কর্ম করতে চায়না অলসতা করে এধরণের বদঅভ্যাস ত্যাগ কতে হবে।