কুরআন আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে প্রেরিত একটি কিতাব : আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির হেদায়াতের জন্য যুগেযুগে অসংখ্য নবী রাসূল প্রেরণ করেছেন তাদের সকলের উপর ভিন্ন ভিন্ন কিতাব নাযিল করেছেন। যেমন তাওরাত মুছা আঃ এর উপর, যাবুর দাউদ আঃ এরই উপর, ইনজিল ইসা আঃ এর উপর তার ধারাবাহিকতায় রাসূল সাঃ এর উপর পবিত্র কুরআনে মাজিদ নাজিল করেছেন। রাসূল সাঃ এর আগমনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা নবীদের সিলসিলা শেষ করে দিয়েছেন। পৃথিবীতে আর কোন নবীর আগমন গড়বেনা। কিন্তু নবী মুহাম্মদ সাঃ এর রেখে যাওয়া কিতাব মহাগ্রন্থ আল কুরআন কিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে থাকবে। এর বাস্তবায়নে থাকবেন এক দল আলেম সমাজ, কারণ রাসূল সাঃ একটি হাদিসের মাধ্যমে উল্লেখ করেছেন “আলেম গণ পয়গম্বরদের ওয়ারিশ” (আল-হাদিস) এই হাদিসের আলোকে পৃথিবীতে নবী না আসলেও আলেম ওলামা দ্বারা পৃুথবীতে দ্বীনের প্রচার ও প্রচারণা চলতে থাকবে।
এই দ্বীনের প্রচারনায় সঠিক ভাবে যে সমস্ত আলেমদেরকে চেনা যাবে তারা হচ্ছেন কোরআন ও হাদীসের সঠিক অনুষরণকারীগণ “যারা সর্ব অবস্থায় সত্য কথা বলবেন, কোরআন দিয়ে বিচার পায়সালা করবেন,কোরআনের উপর আমল করবেন, কুরআনের দিকে আহ্বান করবেন” । (আল-হাদিস)
কুরআন শিক্ষা করা ফরজ : আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য নামায, রোজা, হজ্জ, যাকাত যেমন আমাদের উপর ফরজ করেছেন তেমনি পিবিত্র কুরআনে মাজিদ ও শিক্ষা করা ফরজ করেছেন। এর মধ্যে যাকাত নেসাবে মাল, হজ্জ সামর্থবানদের উপর, রেজা বছরে একমাস, নামাজ দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নির্ধারিত সময় আদায় করতে হয়। কিন্তু কুরআনে মাজিদ সর্ব সময় পড়তে হবে। কারণ ওহির প্রথম বাণি হচ্ছে পড়।
কুরআন মাজিদ পড়ার জন্য শিক্ষা করা প্রয়োজন। শিখতে হবে সহি শুদ্ধ ভাবে তা না হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যারা কুরআনে মাজিদের হক আদায় করে পড়ে তারা কুরআনে মাজিদের উপর ঈমান পোষন করে। কুরেআনে মাজিদের উপর ঈমান পোষন না করলে কি হবে তা আমরা অবগত আছি।
কুরআন পথ পদর্শনের কিতাব : আল্লাহ তায়ালা সূরা বাকারার ২নং আয়াতে এরশাদ করেন “ ইহা ঐ কিতাব যাতে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ নেই, যা আল্লাহ ভীরুদের পথ প্রদর্শন করবে”।